স্বাস্থ‍্যমন্ত্রীর পদত‍্যাগ দাবী করে কুশপুতুল দাহ বাম ছাত্র সংগঠনের

16th July 2020 5:02 pm বর্ধমান
স্বাস্থ‍্যমন্ত্রীর পদত‍্যাগ দাবী করে কুশপুতুল দাহ বাম ছাত্র সংগঠনের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান )  : রাজ‍্য সরকারের প্রতি তোপ দেগে প্রতিবাদে সামিল বাম ছাত্র সংগঠন ভারতের ছাত্র ফেডারেশন । বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু, কলকাতায় ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে,করোনা পরিস্থিতিতে সকলের জন্য সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এই দাবিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার CMOH অফিসের সামনে SFI পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে বিক্ষোভ  কর্মসূচি ও CMOH এর দপ্তরে ডেপুটেশন প্রদান । পোড়ানো হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কুশপুত্তলিকা  ।  উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক ও সভাপতি অনির্বান রায়চৌধুরী বিশ্বরূপ হাজরা ,  সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তারক মন্ডল প্রলয় কুন্ডু দিব্যেন্দু নদী রিকাই সাম ও উষসী রায়চৌধুরী ও অনান্য নেতৃত্ব ।
১) পরীক্ষা-সংখ্যা বাড়ানো ও রোগীদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশনের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২) কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা সুলভ ও জটিলতাবিহীন করতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীদের অস্বাভাবিক হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে, তাই প্রয়োজনে জেলা এবং ব্লকভিত্তিক সক্রিয় টাস্ক ফোর্স চালু করতে হবে। সরকারি হেল্পলাইন নম্বরের উপযোগিতা বাড়াতে হবে।
৩) প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে কোভিড চিকিৎসার সাথে সাথেই নন-কোভিড রোগীদেরও চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে হবে। সুপারস্পেশালিটি, মাল্টিস্পেশালিটি ইত্যাদি গালভরা শব্দ নয়, বাস্তবিকই মানুষের সুবিধার্থে যাতে কাজে লাগে হাসপাতালগুলো, তার ব্যবস্থা করতে হবে। ফিভার ক্লিনিকের কার্যকারিতা বাড়াতে হবে ।
৪) বেসরকারি হাসপাতালে জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারের তরফে কোনো গণ্ডি নির্দিষ্ট না থাকায় চিকিৎসার খরচ অস্বাভাবিক বেড়েছে। দরিদ্র রোগীদের জন্য সংরক্ষিত বেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫) রেশনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে মাক্স, সাবান, ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করতে হবে সরকারি উদ্যোগে ৷





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।